কৃষ্ণনগরে আলোচিত নৌকার প্রার্থী শ্যামলী পেলেন মাত্র ৩৮৫ ভোট 

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী লাঙল প্রতীকে জাপার প্রার্থী সাফিয়া পারভীন সাত হাজার ২৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ঘরানার (স্বতন্ত্র) জিএম রবিউল্লাহ বাহার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ছয় হাজার ৮৭৫ ভোট। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ্যামলী রানী বাপ্পি মাত্র ৩৮৫ ভোট পেয়েছেন। 

রবিবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইউনিয়নের ২২ হাজার ১০৯ জন ভোটারের মধ্যে ১৬ হাজার ১৫৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

আট জন প্রার্থীর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রওশান কাগুজী পেয়েছেন ৬৪৩ ভোট। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান মোল্লা পেয়েছেন ৬৩৪ ভোট। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখা প্রতীক নিয়ে শাহাজান কবীর শানু পেয়েছেন ৮৯ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আশানুর রহমান অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে ৪০ ভোট পেয়েছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের নজরুল ইসলাম গাজী পেয়েছেন ৩৯ ভোট। 

এদিকে নির্বাচনের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন দুই নারী প্রার্থী সাফিয়া ও শ্যামলী। নির্বাচনের মাঠে বেশ সরব উপস্থিতি ছিল নৌকার প্রার্থী শ্যামলী রানী বাপ্পির। নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় তিনি বোমা হামলার শিকার হন। এরজন্য তিনি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া পুরুষ প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচারণা চালিয়েও তিনি নজর কাড়েন। নির্বাচনে জয় পেলে তিনি এলাকায় বহুমুখী উন্নয়ন করবেন বলেছিলেন। এছাড়া নারীর স্বাস্থ্যসুরক্ষা, ক্ষমতায়ন ও শিশুদের লেখাপড়া এবং পুষ্টি উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ওয়াদা করেছিলেন তিনি। 

অন্যদিকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাফিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের মেয়ে। সন্ত্রাসী হামলায় ২০১৮ সালে মোশাররফ মারা গেলে উপনির্বাচনে তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন লাকি জয়ী হন। তিনি সাতক্ষীরার নির্বাচিত প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। এবার তার মেয়ে সাফিয়াও নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।