করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিষয়ে বেনাপোল বন্দরে সতর্কতা  

বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিষয়ে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দরে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির বিষয়টি জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়। ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে– যুক্তরাজ্য, গোটা ইউরোপ এবং আরও এগারোটি দেশ বা অঞ্চল। ওইসব দেশ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন,  ‘ভারত থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রবেশের আগে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব যাত্রী মাক্সবিহীন বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন তাদের মধ্যে ফ্রি মাক্স সরবরাহ করা হচ্ছে। আজ সকাল থেকে পুলিশি তত্ত্বাবধানে ইমিগ্রেশনের প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি।’

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক সঞ্জয় বাড়ই বলেন, ‘ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাকচালক ও হেলপারদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারেন সেজন্য বন্দরের বিভিন্ন বহির্গমন গেটে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকায় সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের ডিজিটাল স্ক্যানিং মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।