ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ: বাগেরহাটে নিরাপদ আশ্রয়ে কয়েকশ’ ফিশিং ট্রলার

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদফতর ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণা করেছে। উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে শত শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের খালসহ শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূলে অবস্থান করছিল।  সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। বিকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার দুপুরে বাগেরহাটে নদীর পানি ২৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জাওয়াদের প্রভাবে ইতোমধ্যে সুন্দরবনের নদ-নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকতা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ধেয়ে আসা খবরে দেশি-বিদেশি পর্যটক, দুবলার চরের শুঁটকি পল্লীর জেলেসহ কর্মকতা ও বনরক্ষীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে ইতোমধ্যে সুন্দরবনের নদ-নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। 

প্রস্তুতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা ও রামপালসহ সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে দ্রুত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে দিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।