জাওয়াদের প্রভাবে বাঁধ উপচে পানি ঢুকে ২ গ্রাম প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে উপকূলজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর থেকে শুরু হওয়া গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি রবিবারও (৫ ডিসেম্বর) হচ্ছে। যা ক্রমাগত হারে বাড়ছে। আকাশ গত দুদিন ধরে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। গত দুদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও।

কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত বলেন, ‘জাওয়াদের প্রভাব মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাবার ও গরম কাপড়সহ পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে।’

তিনি বলেন, ‘জাওয়াদের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জোয়ারের সময় কয়রার হরিহর ও ঘাতিরঘেরি এলাকায় বাঁধ উপচে দুই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০০ পরিবার দুর্ভোগে পড়েছেন।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা আবহাওয়া বুলেটিন পর্যবেক্ষণ করছি। প্রস্তুত আছি। বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক। মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ আসা-যাওয়া, পণ্য বোঝাই, খালাস ও পরিবহন স্বাভাবিকভাবেই চলমান রয়েছে।’

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের আশঙ্কায় ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছি। ঝড়ের পরিস্থিতি বুঝে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেশ কয়েকটি নদীতে পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সাতক্ষীরা অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জাওয়াদ মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির সব আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’