সুন্দরবন-ষাটগম্বুজ মসজিদ ঘুরে দেখলেন ১৫ দেশের ৬০ প্রতিনিধি

মুজিব ফ্যামিলাইজেশন ট্যুরের অংশ হিসেবে ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের নিয়ে বাগেরহাটের সুন্দরবন এবং ষাটগম্বুজ মসজিদ ভ্রমণ করেছেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের নিয়ে এ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়।

বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। ষাটগম্বুজ মসজিদের ঐতিহ্য সুরক্ষিত রাখার কথা উল্লেখ করে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাগেরহাটের লোকজন অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। বিশ্ব ঐতিহ্যের বড় দুটি স্থানই পড়েছে বাগেরহাটে। একটি সুন্দরবন, অন্যটি ষাটগম্বুজ মসজিদসহ খানজাহান আলীর মাজারের অন্যান্য স্থাপনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে এখানে ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং দুটি সংস্থার প্রতিনিধি এসেছেন। তারা সবাই আমাদের দেশের এই প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। আমরা আমাদের এই ঐতিহ্য সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে কাজ করছি।’

এই প্রতিনিধি দলে ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, ইতালি, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, নেপাল, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ৬০ জন অংশ নেন। বাগেরহাটের মোংলা দিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাট জাদুঘর ঘুরে দেখেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্য ঢাকায় কর্মরত নেপাল দূতাবাসের কর্মকর্তা কুমার রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের ষাটগম্বুজ মসজিদের ঘুরতে এসে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটার স্থাপত্যশৈলী অসাধারণ। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি। তবে এই মসজিদের স্বতন্ত্র স্থাপত্যশৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটি আমার গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ। আমি বিশ্বের সব পর্যটকদের অনুরোধ করবো এই স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখার জন্য।’