সেই নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে হচ্ছে কমিটি

সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করবে স্থানীয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি দাবি করেন, ‘পৌরসভায় কাজী বিরাজ হোসেন নামের অস্থায়ী এক কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করতে তিন লাখ চার হাজার টাকা ঘুষ নেন নাজিম উদ্দিন। কিন্তু তার চাকরি স্থায়ী করা হয়নি।’ এ ছাড়া কর্মচারীদের অহেতুক হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কর্মচারীদের অভিযোগ তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠান। পাশাপাশি অভিযোগের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠান।

সাতক্ষীরা পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান খান বাপ্পি দাবি করেন, ‘বিনা নোটিশে আমিসহ সাত কর্মচারীকে চাকরি থেকে অপসারণ করেছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি আমাদেরকে পৌরসভা চত্বরে দেখলে গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছেন।’

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নাজিম উদ্দিনের বিষয়টি তদন্তের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি পেয়েছি। অচিরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২০ মার্চ বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেন তৎকালীন আরডিসি নাজিম উদ্দিন। পরে বিভাগীয় শাস্তি স্বরূপ তার বেতনক্রম ষষ্ঠ থেকে সপ্তমে নামিয়ে আনা হয়।