দুই যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন, দেওয়া হয় আগুনের ছ্যাঁকা

 



নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ছাগল চুরির অভিযোগে ফরিদ শেখ (৩০) ও তরিকুল শেখ (২৩) নামে দুই যুবককে গাছে বেঁধে ও সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৫ মে) লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। গাছে বেঁধে দুই যুবককে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

নির্যাতিত ফরিদ শেখ মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে ও তরিকুল শেখ একই গ্রামের রউফ শেখের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। নির্যাতনের শিকার দুই যুবককে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ, প্রতক্ষ্যদর্শী ও আহতদের স্বজনরা জানান, শনিবার (১৪ মে) রাতে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাই মুন্সীর একটি ছাগল হারিয়ে যায়। ওই ছাগল চুরির অভিযোগে ফরিদ ও তরিকুলকে রবিবার সকাল ৮টার দিকে ধরে আনা হয়। পরে নান্নু শেখের দোকানের পাশে দুটি গাছে দু’জনকে আলাদাভাবে বেঁধে মারপিটসহ চালানো হয় নির্যাতন। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। কোটাকোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার (সদস্য) আবু কালাম মুন্সীর নেতৃত্বে ৪-৫ জন তাদেরকে বাঁশের লাঠি দিয়েও বেধড়ক পেটায়। 

নির্যাতনের শিকার তরিকুল বলেন, ছাগল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গাছে বেঁধে প্রায় দু’ ঘণ্টা ধরে অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে কোটাকোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু কালাম মুন্সী বলেন, আমি তাদের মারিনি। ফরিদ শেখ ও তরিকুল শেখ ভালো লোক না। তাদের নামে থানায় চুরির মামলা আছে।

লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।