৭১ যাত্রী নিয়ে ফিরলো বন্ধন এক্সপ্রেস 

করোনাকালে দুই বছর বন্ধ থাকার পর খুলনা-কলকাতা রুটে গত ২৯ মে চালু হয়েছে ট্রেন ‘বন্ধন’ এক্সপ্রেস। চালুর দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সকালে কলকাতা থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে ট্রেনটি। পরে দুপুরে খুলনা থেকে ৭১ যাত্রী নিয়ে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কার্যক্রম শেষ করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয় ট্রেনটি।  

বেনাপোল রেল স্টেশনের ম্যানেজার শাইদুজজামান বলেন, ভারতের চিৎপুর থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছে। দুপুর ১টার দিকে খুলনা স্টেশনে পৌঁছায়। পরে খুলনা থেকে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে বেনাপোল থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বৃহস্পতিবার ও রবিবার দুই দিন খুলনা-কলকাতা রুটে ট্রেনটি চলাচল করবে।

ট্রেনের ভাড়া ও ভ্রমণ কর বিষয়ে তিনি বলেন, সবমিলিয়ে ট্রেনের এসি চেয়ার টিকিটের মূল্য এক হাজার ৫৩৫ টাকা এবং কেবিনের ভাড়া দুই হাজার ২৫৫ টাকা। যাত্রীদের বেনাপোল স্থলবন্দরে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর তারা সরাসরি খুলনা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করতে পারেন। ট্রেনটির ৪৫৬ আসনের মধ্যে ৩১২টি এসি চেয়ার ও ১৪৪টি প্রথম শ্রেণির আসন রয়েছে। কলকাতা–খুলনার মধ্যে দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে পড়েছে ৯৫ কিলোমিটার ও ভারতে পড়েছে ৭৭ কিলোমিটার।

খুলনা থেকে কলকাতায় যাওয়া যাত্রী আশিক বলেন, চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যাচ্ছি। আমিসহ তিন জন কলকাতা যাচ্ছি। এটা আনন্দদায়ক ভ্রমণ। 

অপর যাত্রী নীলিমা রানি বলেন, যাত্রাটা খুবই আনন্দের। কলকাতা যাওয়ার জন্য ট্রেন যাত্রা খুবই আরামদায়ক। তবে ভাড়া অনেক বেশি। হাজারের মধ্যে থাকলে ভালো হতো।

এরআগে, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনার মধ্যে ৪৫৬ আসনের ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামের আন্তর্জাতিক ট্রেনটি চলাচল শুরু হয়। পরে করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ট্রেনটির চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।