এক হাট থেকে কেসিসির আয় সোয়া ২ কোটি টাকা

খুলনার জোড়াগেট কোরবানি পশুর হাটে এবার সাত দিনে ছয় হাজার ৭৬০টি পশু বিক্রি হয়েছে। এ থেকে হাসিল আদায়ের মাধ্যমে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) আয় হয়েছে দুই কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার ৭৪৫ টাকা। 

খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত এই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সব সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান ছিল। তবে ২০২১ সালের চেয়ে এ বছর ১৮০টি পশু কম বিক্রি হয়েছে। হাসিল আদায় ২৫ লাখ টাকা বেড়েছে। জোড়াগেট হাটে ২০২০ সালে পাঁচ দিনে ছয় হাজার ১৬৯টি পশু বিক্রি থেকে হাসিল আদায় হয় এক কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে এক হাজার ৬৩৬টি পশু বিক্রি কম হয়েছিল। আর হাসিল আদায় কমেছিল ৪৪ লাখ টাকা। 

কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাহিদ হোসেন জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে হাটে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালন করা হয়। এ কারণে পশু বিক্রি কম হয়েছে। তবে এবার হাসিল আদায় বেড়েছে। 

তিনি বলেন, গত ৩ জুলাই থেকে জোড়াগেট হাটে গরু-ছাগল বিক্রি শুরু হয়। ১০ জুলাই ভোর ৫টায়  বেচাকেনা শেষ হয়। এই সময়ের মধ্যে হাটে ছয় হাজার ৭৬০টি পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ৯১৩টি গরু, এক হাজার ৮১১টি ছাগল ও ৩৬টি অন্যান্য পশু। এ থেকে হাসিল হিসাবে কেসিসি পেয়েছে দুই কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার ৭৪৫ টাকা। ২০২১ সালে এই হাটে ছয় হাজার ৯৪০টি পশু বিক্রি হয়। কেসিসি হাসিল হিসাবে পায় দুই কোটি ৪৩ হাজার ৪৫ টাকা।

২০১১ সাল থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জোড়াগেট কোরবানি পশুর হাট পরিচালনার উদ্যোগ নেয় কেসিসি। সেই থেকে এ হাটের মাধ্যমে কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছে কেসিসি।