সড়কে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বারবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজি অভিযোগ তুলেছেন কমিটির সদস্যরা। এ ঘটনায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিষয়টির তদন্ত ও সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানান। 

বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া জেরিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। 

সভায় বাস, ট্রাক, মাইক্রো, ইজিবাইক, আলমসাধু, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন থেকে হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডুসহ কমিটির অন্য সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তবে সভায় বারবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি শেখ মেজবাহ উদ্দীন হাজির হননি বলে জানা গেছে।

এ সময় সড়কে ডাকাতি ও যানজট লেগে থাকলেও হাইওয়ে পুলিশ সেদিকে কোনও খেয়াল না রেখে প্রতিনিয়ত যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করছেন বলে অভিযোগ করা হয়। গত ২১ জুন ভোর রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পিরোজপুর নামক স্থানে সড়কে গাছ ফেলে কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতি হয়। সে সময়ে ডাকাতদল সিরাজুল ইসলাম (৪৪) নামে এক চালককে হাসুয়া দিয়ে জখমের পর ৪০ হাজার টাকা লুট করে। এ ঘটনায় ওই ট্রাকের মালিক তরুন সাহা কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে ডাকাতির কিছু আগেই আহত ওই চালকের থেকে হাইওয়ে পুলিশ চাঁদা নেয়। পরে তিনি ডাকাতের হামলায় আহত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হলে চাঁদার টাকা ফেরত দেওয়া হয় বলে সভায় জানানো হয়। 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভিন, ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, শিমলা-রোকন ইউপি চেয়ারম্যান নাছির চৌধুরী, কোলা ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল আজাদ, ত্রিলোচনপুর ইউপি চেয়ারম্যান (তৃতীয় লিঙ্গ) নজরুল ইসলাম ঋতু, মালিয়াট ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান খান, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নয়ন খন্দকার প্রমুখ।

সভায় যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশ বৃদ্ধি, সড়কের পাশের ফুটপথ দখল করে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অপসারণ জন্য পৌর চেয়ারম্যানের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, স্বাস্থ্যসম্মত পশু জবাই করা এবং তা সঠিকভাবে তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়া এবং পশু জবাইখানা নির্মাণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, মাদক ব্যবসা ও চুরি ডাকাতি বন্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।