ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করলো সহপাঠীরা, প্রতিবাদ করায় বাবা-চাচাকে মারধর

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও চাচাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৫ জুলাই) বিকালে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রাতেই আট জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। 

স্থানীয়রা জানান, সাত দিন আগে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্র। ঘটনার প্রতিবাদ করলে ছাত্রীর বাবাকে মারধর করে তারা। এরপর বিষয়টি গ্রামে মীমাংসা করতে সোমবার বিকালে স্থানীয়দের নিয়ে বসার কথা ছিল। হঠাৎ সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামের মাঠে জমি চাষের সময় চুক্তভোগীর চাচাকে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে ওই ছাত্ররা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ওই ছাত্রীর চাচা হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে জানান, সাত দিন আগে তার ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করে মাদ্রাসার ছাত্ররা। এ ঘটনায় তার ভাই প্রতিবাদ করলে ঘটনার দিন তাকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর সোমবার স্থানীয়দের নিয়ে বসার কথা ছিল। হঠাৎ মাঠে কাজ করার সময় তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এতে তার হাত ভেঙে যায়।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন ছাত্র মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে। মেয়ে বাড়ি এসে কান্নাকাটি করলে তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করতে যান। এ সময় তাকেও মারধর করা হয়। বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারকে জানালে তিনি গ্রামে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকালে স্থানীয়দের সঙ্গে বসে মীমাংসার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মাঠে কাজ করার সময় তার ভাইকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। বর্তমানে সে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে। মাদ্রাসার বাইরের ঘটনায় তিনি কিছু করতে পারবেন না। বাইরে ঘটনা ঘটায় তিনি গ্রামের মানুষদের  নিয়ে মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। ওই ছাত্রদেরকে ডেকে তিনি যতটুকু শাসন করার করেছেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, এ বিষয়ে সোমবার রাতে থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।