খুলনার আসাদকে জার্মানিতে নিয়ে গেলেন কাসুমী

প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে খুলনার যুবক আসাদ মোড়লকে বিয়ে করে জার্মানিতে নিয়ে গেলেন অ্যাসটিট ক্রিস্টিয়াল কাসুমী সিউর। প্রেমের টানে ২০১৯ সালের ১০ জুন জার্মানি থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন কাসুমী। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আসাদকে জার্মানিতে নিয়ে যান তিনি। বর্তমানে তারা সেখানে সুখে সংসার করছেন বলে জানিয়েছে আসাদের পরিবার। 

আসাদ মোড়ল খুলনা নগরের খানজাহান আলী এলাকার বাসিন্দা। আসাদের বাবা ইব্রাহিম মোড়ল বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার পর আসাদকে বিয়ে করে মাসখানেক থেকেছিল বউমা। পরে জার্মানিতে চলে যায়। ওই সময় আসাদকে সঙ্গে নিতে পারেনি। এরমধ্যে ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশেও আসতে পারেনি। গত দুই বছর ধরে আসাদের জন্য ভিসা ও কাগজপত্র তৈরি করেছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভিসা ও কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয়। এরপর আসাদ জার্মানিতে চলে যায়।’

আরও পড়ুন: ঝিনাইদহের মিঠুনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেলেন এলিজাবেথ

তিনি বলেন, ‘ছেলে ও বউমা প্রায় প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে কথা বলে। ছেলে টাকাও পাঠায় আমাদের জন্য। ছেলে ও বউমা বলেছে, তারা অনেক সুখে আছে। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করে আসাদ।’ 

আসাদের পরিবার জানায়, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে আসার আগে কাসুমী তার জার্মান স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। ওই বছরের ১০ জুন খুলনায় আসেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আসাদকে বিয়ে করেন। বেশ কিছু দিন নগরের একটি হোটেলে থাকার পর খুলনার বাড়িতে ছিলেন মাসখানেক।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে পরিচয়: প্রেমের টানে মার্কিন তরুণী বাংলাদেশে

আসাদের বাবা জানান, তেমন পড়াশোনা করেনি আসাদ। শ্রমিকের কাজ করতো। ফেসবুকে তার সঙ্গে জার্মান নারীর পরিচয় হয়। দুই বছর ধরে কথা বলতে বলতে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের সম্পর্ককে বাস্তবে রূপ দিতে জার্মানি থেকে প্রথমে ঢাকায় আসে কাসুমী। পরদিন ঢাকা থেকে খুলনায় আসে এবং একটি হোটেলে ওঠে। ওই হোটেলে দুজনের প্রথমবারের মতো দেখা হয়। ১২ জুন ক্রিস্টিয়াল খুলনা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ১৩ জুন তাদের বিয়ে হয়।

ওই সময় আসাদ মোড়ল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘দুই বছর আগে ফেসবুকে জার্মান নারী ক্রিস্টিয়ালের সঙ্গে আমার পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক। ১৩ জুন আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেছি আমরা।’