বঙ্গবন্ধু কোনও জান্তার কাছে নতি স্বীকার করেননি: এমপি নাবিল

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যশোর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত শোক দিবসের কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেন এবং আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন।

এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আজীবন সংগ্রামী এই মানুষটি কখনও কোনও জান্তার কাছে নতি স্বীকার করেননি। মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে আপসহীন ছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। কিন্তু ১৯৭৫ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও তাদের দেশি-বিদেশি এজেন্টদের ষড়যন্ত্রের কারণে মহান এই নেতাকে সপরিবারে খুন করা হয়।’

nabil3

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘খুনিরা ভেবেছিল এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তারা এই দেশকে পরাধীন রাখতে পারবে। সে কারণে ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর তারা দেশের মানুষকে ভুল ইতিহাস শিখিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি আইন পাস করিয়েছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার গঠনের ফলে আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। দেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু সেই অপশক্তি থেমে নেই; তারা দেশকে পেছনে নিতে ফের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’ তাদের সেসব অপচেষ্টা রুখে দিতে ও শেখা হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান যশোর সদর আসনের এই সংসদ সদস্য।

জাতীয় শোক দিবসে কাজী নাবিল আহমেদ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন। দিনভর ব্যস্ত সময় পর করেছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সকালে শহরের বকুলতলায় জাতির জনকের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেন। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যশোর পৌর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দরিদ্রভোজ ও আলোচনায় অংশ নেন। তিনি যশোর শহরের কাজীপাড়া, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড়, বিমান অফিস মোড়, কদমতলা মোড়, পুলিশ লাইন্স মাদ্রাসা মোড়, খয়েরতলা স্কুল মোড়, ভাস্কর্য মোড়, ক্যাম্প মোড়, দড়াটানা, চেম্বার অব কমার্স মোড়, বটতলা মোড়, মোল্লাপাড়া, বারান্দীপাড়া, খালধার রোড, আরএন রোড, নাজির শঙ্করপুর জিরো পয়েন্ট, জনতা ব্যাংকের সামনে, গাড়িখানা রোড, ওয়াপদা মোড়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মোড়, হাইকোর্ট মোড়, রাজারহাট, কচুয়া স্কুল, রূপদিয়া বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় দরিদ্রদের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করেন।

nabil1

এসব কর্মসূচিতে তার সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম খয়রাত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মিন্টু, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমেদ, লুৎফুল কবীর বিজু, পৌর কাউন্সিলর রাজিবুল আলম, লাইজু জামান, মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক লুৎফুল কবির বিজু, শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জবেদ আলী, যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক, প্রচার সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন, দফতর সম্পাদক হাফিজুর রহমান, শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক শেখ আলাউদ্দিন মুকুল, ক্রীড়া সম্পাদক নাজমুল হুদা পনিসহ দল ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।