খুলনায় লঞ্চ চলাচলও বন্ধ

খুলনায় বাস ধর্মঘটের পাশাপাশি এবার যাত্রীবাহী লঞ্চ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছে লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়ন। এর ফলে খুলনা থেকে দক্ষিণ দিকে (দাকোপ, কয়রা, সাতক্ষীরা) যাতায়াতের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কোনও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি ও আসেনি।

শনিবার (২২ অক্টোবর) থেকে খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এর আগের দিন আজ থেকে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতি। সংগঠনটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ধর্মঘটের কারণ হিসেবে নসিমন, করিমন, ভটভটি ও ইজিবাইকসহ সব অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবির কথা বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: খুলনায় চলছে না বাস

তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, শনিবার বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুই দিন বাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজ আবার লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই।

আরও পড়ুন: খুলনায় গয়েশ্বরের সামনে থেকে ১৩ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ

লঞ্চ শ্রমিকরা বলছেন, লঞ্চ শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদীর খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেওয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন তারা। শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুলনা থেকে কোনও লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে মালবাহীসহ অন্যান্য লঞ্চ ও নৌযান চলাচল করছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘শনিবার খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে। এখন নৌপথও বন্ধ করে দিয়েছে। কোনোভাবেই গণসমাবেশ ঠেকানো যাবে না। যেকোনও মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।’