পরিবার ভেবেছিল মারা গেছে, ২ বছর পর মিললো বান্দরবানের পাহাড়ে

রাঙামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় শুক্রবার (২১ অক্টোবর) র‌্যাবের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার জঙ্গি কাওছার আহমেদ শিশিরের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার। সে ওই উপজেলার হারুনদিয়া গ্রামের মৃত গোলাম কিবরিয়ার ছেলে। দুই বছর আগে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশের পর পরিবারের সদস্যদের মনে করেছেন, সে আর বেঁচে নেই।

নিরুদ্দেশের পর পরিবারের সদস্যরা শৈলকুপা থানায় জিডি করতে গেলে তার কোনও ছবি না থাকায় জিডি করতে পারেননি বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশের আগে সে বাড়িতে গরু পালন করতো বলে জানা গেছে।

কাওছারের ভাই কেরামত আলী জানান, তারা তিন ভাই ও পাঁচ বোন। কাওছার সবার বড়। ঢাকাতে পোশাক কারখানায় চাকরি করতো কাওছার। সেখানে কিছু দিন চাকরির পর বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে গরু পালন ও কৃষিকাজ শুরু করে। স্থানীয় গাড়াগঞ্জ বাজারে কিছু দিন লেপ-তোষকের ব্যবসাও করে। সেই ব্যবসা ছেড়ে ঝিনাইদহ শহরের এক আত্মীয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। এরপর ২০২০ সালের দিকে বাড়ির সঙ্গে তার আর কোনও যোগাযোগ নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে আর না পাওয়া গেলে পরিবার ধারণা করে, সে মারা গেছে।

কাওছারের মা ঝর্না খাতুন বলেন, গত দুই বছর তার বড় ছেলে কাওছারের কোনও খোঁজ নেই। থানাতে জিডি করতে গেলে ছবি দিতে না পারায় জিডি করতে পারিনি। তবে মনে করেছি, ছেলে আর বেঁচে নেই।

প্রতিবেশী আবদুল মালেক জানান, ছোট থেকে কাওছার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। তার আচার-আচরণ ভালো ছিল। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান কাওছারের বাবা ২০১৪ সালে মারা যান। সে প্রথমে পার্শ্ববর্তী গ্রাম হড়রাতে বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ঝিনাইদহ শহরে দ্বিতীয় বিয়ে করে।

শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটি ও বান্দরবনের পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ সদস্য কাওছারের বাড়ি শৈলকুপার হারুনদিয়া গ্রামে। তাকে নিয়ে তদন্ত চলছে।