দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেলো ২ তরুণের

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে তিন জন। রবিবার (২০ নভেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন—দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা আবাসন প্রকল্পের ডাব বিক্রেতা আব্দুল আলিমের ছেলে আনিজুল ইসলাম (১৮) এবং একই উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার তরিকুল ইসলামের ছেলে কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রাতুল হোসেন (১৯)।

আহতরা হলেন—কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের কলেজপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে রাহুল (১৯), একই গ্রামের পূর্বপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৯) এবং একই উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যধারা গ্রামের আবু কাশেমের ছেলে রাজু আহমেদ (২১)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাতে একই মোটরসাইকেলে আনিজুল ও রাতুলসহ তিন জন কার্পাসডাঙ্গা থেকে দর্শনার দিকে যাচ্ছিলেন। চন্ডিপুর গ্রামের কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে একটি ইঞ্জিনচালিত আলমসাধুকে পাশ কাটাতে যান আনিজুল। এ সময় সামনে থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই আনিজুল মারা যান। এতে আহত হন চার চন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে রাতুলসহ দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাতুলের মৃত্যু হয়।

রাতুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চন্ডিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আবু সিদ্দিকী বলেন, ‘আহত রাতুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদের বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই আনিজুলের মৃত্যু হয়। দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিল।’

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘আলমসাধুর ওভারটেক করার সময় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে এক মোটরসাইকেলের চালক নিহত হয়েছেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি।’