প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে দক্ষিণে উচ্ছ্বাস

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোরের শামসুল হুদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আয়োজনে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম করতে কাজ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে খুলনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। প্রতিটি উপজেলা ও থানায় থানায় চলছে সমাবেশ সফলের প্রস্তুতি।
 
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকার বলেন, শহর থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা খুবই উচ্ছ্বসিত। পাইকগাছা, কয়রাসহ বিভিন্ন উপজেলার কর্মীরা নিজেরাই অর্থ দিয়ে বাস ভাড়া করতে শুরু করেছেন। খুলনার ৯টি উপজেলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ৫০ হাজারের বেশি কর্মী ও সমর্থক অংশ নেবেন।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে খুলনার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মী সমর্থকরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন। 

কয়রার আওয়ামী লীগের কর্মী হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যেতে ক্ষণগণনা করছি। ২৪ নভেম্বর সকালেই বাসযোগে আমরা যশোর যাবো। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহসিন রেজা বলেন, খুলনার উপকূলীয় কয়রার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি খুবই আন্তরিক। তারা যশোরের জনসভায় যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 

খুলনা মহানগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, ২৪ নভেম্বর খুলনার সব বাস (দুই শতাধিক) দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাবে। ওইদিন কেবলমাত্র জনসভায় কর্মী ও সমর্থকদের নেওয়ার জন্য দুটি স্পেশাল ট্রেন চলতে পারে বলেও জানান তিনি।