রওশন এরশাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাদের বসার সুযোগ নেই: মহাসচিব

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও দলের চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদের সঙ্গে পার্টির নেতৃবৃন্দের বসার সুযোগ নেই। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ৬৪ জেলার ৭৭টি কমিটি ও নির্বাহী কমিটি গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের পক্ষে রয়েছে।’

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চুন্নু বলেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয়ই জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। বর্তমানে জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে নেই। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় পার্টি এককভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।’ জাতীয় সংসদে ভোটের আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তনের ওপর জোর দেন তিনি। জনগণকে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির ৯ বছরের শাসনামলকে ‘উন্নয়নের স্বর্ণালি যুগ’ উল্লেখ করে মহাসচিব বলেন, ‘পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনভোগান্তি দূর করতে উপজেলা পরিষদ গড়ে তুলেছিলেন। গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠা করে গরিব অসহায় মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ছিন্নমূল মানুষের কল্যাণে সারা জীবন কাজ করেছেন। দ্রব্যমূল্য ছিল সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রিত। সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে পারতো। কৃষির উন্নয়নে সেচ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছিল এরশাদের সেই সোনালি যুগে।’

সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখ্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাঈদুর রহমান টেপা, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন খান বাপ্পি, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আনোয়ার জাহিদ তপন, সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস সাদেক, জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক কাজী আমিনুল হক ফিরোজ, সদস্য সচিব কমল বিশ্বাস, জেলা যুব সংহতির সভাপতি আশিকুর রহমান বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের, জেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি মো. কায়ছারুজ্জামান হিমেল।