‘তুলে নেওয়া’র সাত ঘণ্টা পর গ্রেফতার দেখানো হলো সাংবাদিককে

সাতক্ষীরার দেবহাটায় রঘুনাথ খাঁ নামে এক সাংবাদিককে ‘তুলে নিয়ে যাওয়ার’ অভিযোগ ওঠার পর প্রায় সাত ঘণ্টা পরে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় থানার খলিশাখালী এলাকা থেকে বোমা সাদৃশ্য বস্তুসহ তিনিসহ আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রঘুনাথ খাঁ বেসরকারি দীপ্ত টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।

সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া রানী খাঁ জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা বড়বাজার সড়কের ডে নাইট কলেজ মোড় থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে তাকে তুলে নেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, সংবাদ সংগ্রহের কাজে এদিন সকালে রঘুনাথ খাঁ একটি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলযোগে দেবহাটায় খলিশাখালী এলাকায় যান। সেখান থেকে ফিরে আসার পর ডে নাইট কলেজ মোড় থেকে আটক করা হয়। 

পরে রাতে গ্রেফতারের খবর পেয়ে দেবহাটা থানায় গেলেও তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলেও জানান সুপ্রিয়া রানী।

রঘুনাথ খাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক আব্দুল কুদ্দুস জানান, তিনি রঘুনাথ খাঁকে নিয়ে দেবহাটার খলিশাখালী এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে রঘুনাথ খাঁ মোবাইলে কিছু ছবি তোলেন। ফিরে এসে তিনি বড়বাজারে বাজার করেন। বাজার নিয়ে ফিরে আসার পথে পিএন স্কুলের সামনে তাদের গতিরোধ করেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়দানকারী লোকজন। পরে তাকে বাইক থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ ওবায়দুল্লা বলেন, দেবহাটার খলিশাখালীতে সোমবার সন্ধ্যা পর বোমা ফাটিয়ে নাশকতা সৃষ্টির সময় রঘুনাথ খাঁসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিস্তারিত জানানো হবে।