রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি এস পাইনেল’ জাহাজ। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এসেছে জাহাজটি।  

বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বন্দরের ফেয়ারওয়েতে জাহাজটি নোঙর করে। এমভি এস পাইনেল জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিংয়ের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. রিয়াজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‌‘গত ২৭ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে রওনা হয়েছিল ওই বিদেশি জাহাজ। বুধবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে নোঙর করেছে। রাত ১০টা থেকে জাহাজের কয়লা খালাস শুরু হবে। এরপর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে এসব কয়লা। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আসবে আরেকটি বিদেশি জাহাজ। এই জাহাজের কয়লাও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে যাবে।’

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ডলার রিলিজ করতে কিছুটা সময় লাগায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে সে সমস্যা কেটে গেছে। কয়লা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে একটি জাহাজ।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসবে। ফলে জুন মাস থেকে আবারও কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে রামপাল। এছাড়া দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জোরেশোরে কাজ চলছে। সবমিলিয়ে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে কোনও সমস্যা হবে না।’

গত ১৪ জানুয়ারি ডলার সংকটের অভিযোগে কয়লা আমদানি না হওয়ায় রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ডলার সংকট দেখিয়ে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ঋণপত্র খুলতে না পারায় কয়লা আমদানি বন্ধ ছিল। এর জেরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি সকাল থেকে কয়লা না থাকায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়।