মোংলাকে জেলা ঘোষণার দাবি

মোংলাকে জেলা ঘোষণাসহ ১৬ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ। বন্দরকে আরও আধুনিক ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৬ দাবি বাস্তবায়নের তাগিদ দেন পরিষদের নেতারা।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় মোংলা প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভায় ১৬ দফা দাবি তুলে ধরে এসব কথা বলেন বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মো. শাহ আলম।

তাদের দাবিগুলো হলো—মোংলা বন্দরকে গতিশীল করতে পশুর নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ড্রেজিংয়ের কাজ অব্যাহত রাখা, মোংলাকে জেলা ঘোষণা করা, জয়মনির সাইলোর মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে মোংলা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ, বন্দরকে আধুনিকায়ন ও গতিশীল করা, মোংলা ইপিজেডে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, মোংলা সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা, সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা, বন্দরের কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদান, সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানের করা, খানজাহান আলী বিমানবন্দর চালু করা, দ্রুত সময়ে অর্থনৈতিক জোন চালু করা, মোংলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করা, মোংলা-খুলনা-ঢাকা মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করা, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা ও মোংলা থেকে জয়মনি সাইলো পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণ করা।

জনস্বার্থে এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বন্দর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মো. শাহ আলম বলেন, ‌‘দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আরও ত্বরান্বিত হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আহসান হাবিব হাসান, খুলনা মহানগর তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, মোংলা লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান খোকন, বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মতিয়ার রহমান সাকিব, বন্দর ক্রেনচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার হোসেন ও রিকশাশ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাসু মিয়া প্রমুখ।