৭০ বছর বয়সে এসে বিয়ে করলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

একসময় চিরকুমার থাকার পণ করলেও ৭০ বছর বয়সে সেটির অবসান ঘটিয়ে বিয়ে করেছেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার জিগিরমোল্লা গ্রামের কলেজশিক্ষক হাওলাদার শওকত আলী।

পাশের মোংলা উপজেলার শাহেদা বেগম নাজুকে (৩৫) বিয়ে করেন তিনি। জাঁকজমকভাবে শনিবার (১৮ মার্চ) বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। ১০ লাখ এক টাকা দেনমোহরানায় নগদ পাঁচ লাখ টাকা উশুলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও দুই পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে এ বিয়ে হয়।

বরের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটের রামপাল সরকারি কলেজে ৩৩ বছর শিক্ষকতা করেছেন শওকত আলী। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৪ সালে অবসরে যান। একসময় পরিবারের হাল ধরতে এবং ভাইবোনদের মানুষ করতে গিয়ে বিয়ে করেননি। জীবনের মূল্যবান সময় তিনি শিক্ষকতা, ভাইবোন ও সমাজসেবায় ব্যয় করেছেন। বিয়ের কথা বলা হলেও কখনও রাজি হননি। চিরকুমার থাকবেন বলে জানাতেন। তবে অবসরে যাওয়ার পর একাকিত্ব বোধ করছিলেন।

শওকত আলীর ভাই আবদুল হালিম খোকন বলেন, ‘তিনি আমাদের বড় ভাই, আমরা তার কাছে মানুষ হয়েছি, সারাটা জীবন তিনি আমাদের সুখে-দুঃখে বটবৃক্ষের মতো আগলে রেখেছেন। বর্তমানে আমরা নিজেদের কর্ম এবং ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকি। ফলে আমাদের বড় ভাই অবসরে আসার পর অনেকটা একাকিত্ব বোধ করছিলেন। তার এই একাকিত্ব দূর করতে ও তাকে দেখভাল করতে একজন সঙ্গিনী খুবই দরকার হয়ে পড়ে। তাই আমরা তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তিনি একপর্যায়ে রাজি হন। এরপর মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের এক কন্যাসন্তানের জননী (বিধবা) শাহেদা বেগমের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কনের আগের সংসারের মেয়েটার দায়িত্ব আমার বড় ভাই নিয়েছেন। তারা বর্তমানে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। পরিবারসহ নতুন বর এবং কনে আগামীতে হজে যাবেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে নতুন দম্পতির জন্য দোয়া কামনা করছি।’