হাসপাতালে রোগীদের জন্য কেনা হয়েছিল রোগাক্রান্ত মুরগি

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের খাবারের জন্য সরবরাহ করা রোগাক্রান্ত মুরগি জব্দ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। রোগাক্রান্ত মুরগি বিক্রির দায়ে খামারি আউব আলী ও দোকানি রাকিব কাজীকে এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসমিনা খাতুন রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে মুরগির বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫০ কেজি রোগাক্রান্ত মুরগি জব্দ করেন।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সদরের গিমটাকাঠি গ্রামের আউব আলীর মুরগির খামারের সব মুরগি রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। রোগাক্রান্ত মুরগি গত দুইদিন ধরে ১১০/২০ টাকা কেজি দরে মাইকিং করে বিক্রি চলছিল। কচুয়া বাজারের পাইকারি দোকান থেকে কচুয়া হাসপাতালের জন্য প্রায় একশ কেজি মুরগি কম মূল্যে কেনা হয়। এসব রোগাক্রান্ত মুরগি বাজারের রাকিব কাজীর দোকানে কাটতে পাঠানো হয়। এ সময় ওই দোকান থেকে দুই বস্তা মুরগি জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।

মুরগি খামার মালিকের ছেলে লিখন শেখ বলেন, ‘তিন-চারদিন আগে থেকে খামারে রানীক্ষেত রোগ লেগেছে। খামারে থাকা ৩ শতাধিক মুরগি রোগাক্রান্ত হয়েছে। এটি কম মূল্যে বিক্রি করেছি।’

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসমিনা খাতুন বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে এবং খামার মালিকের স্বীকারোক্তিতে মুরগি বাজারে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে প্রায় ১৫০ কেজি মুরগি জব্দ করা হয়। এ সময় মুরগি খামারি ইউব আলী ও দোকানি রাকিব কাজীকে এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।’