যশোরে ইউপি সদস্যকে মারধর, ভিডিও ভাইরাল

যশোরের বাঘারপাড়ায় জাহিদ হাসান নামে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মারধরের ওই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ১১ ইউপি সদস্য। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপিও দেন তারা।

মারধরের শিকার ইউপি সদস্য জাহিদ উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বলরামপুর গ্রামের ওহাব বিশ্বাসের ছেলে।

শনিবার বিকালে নারিকেলবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন আনসার মাস্টারের বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। সে রাতেই জাহিদ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেছেন।

ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, সাদা টি-শার্ট পরিহিত স্থানীয় যুবলীগ কর্মী জাহিদুল ইসলাম টুটুল ও কালো টি-শার্ট পরিহিত শামীম হাসান শাপলা কাঠ দিয়ে মারধর করছেন ইউপি সদস্য জাহিদকে। এর একপর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরও ধাক্কা দেওয়া হয়। কোনও একজন ভিডিও ধারণ করে শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দুপুর ২টায় বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য জাহিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রবিউল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহার মদদে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী শাপলা, টুটুল, তৌহিদুল চেয়ারম্যানের পক্ষের। হামলাকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউপি সদস্যদের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে শনিবার হামলা চালানো হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ইউপি সদস্য মাসুদ কায়সার, শামছুর রহমান, ফেরদৌস খান সোহাগ, হাফিজুর রহমান, আদম আলী, সোহরাব হোসেন মন্ডল, খালেদা সুলতানা, হাসিয়া খাতুন, রেবা খাতুন ও হামলার শিকার জাহিদ হাসান। 

সংরক্ষিত ইউপি সদস্য খালেদা সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ইউপি সদস্য ছাড়াও একজন জাতীয় দলের অ্যাথলেট। তিন মাস আগে চেয়ারম্যানের লোকজন আমার মাথায় পাঁচটি কোপ মারে। একমাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে সদস্যই চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধে জড়াবে তারই তিনি ক্ষতির চেষ্টা করেন।’

ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারা আমার লোক না।’

বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানান, মামলা রেকর্ড হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।