একজনকে বাঁচাতে গিয়ে যুবক খুন

যশোরে এক যুবককে বাঁচাতে গিয়ে খুন হয়েছেন আরেক যুবক। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর শহরের টিবি ক্লিনিক মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যার এই ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

নিহতের নাম সোলায়মান হোসেন (৩০)। তিনি একটি কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করতেন। এই ঘটনায় জসিম শিকদার (২৮) নামে অপর যুবক আহত হন।

আহত জসিম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তিনি ফুপু শিউলী বেগমকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। টিবি ক্লিনিক মোড়ে পিযুষের চায়ের দোকানের সামনে পৌছুলে চাঁচড়া এলাকার নিয়ামতের ছেলে আরাফাত ও যশোর মেডিক্যাল কলেজের পেছনের মেহেদী হাসান ও মনিরুলের ছেলে জনি এসে তার কাছে টাকা দাবি করে। তারা মূলত মাদকসেবী। মাদক সেবনের জন্য টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তার ওপর চড়াও হয়।

এসময় জসিমের ফুপু শিউলী ঠেকাতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তারা। এরপর জসিমকে ছুরিকাঘাত করে। সে সময় পাশেই ছিলেন সোলায়মান। তিনি ঠেকাতে গেলে তাকে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ছুরির আঘাত তার বুকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে পাড়ে যান।

পরে আশেপাশের লোকজন সোলায়মানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসিব মো. আলী হাসান তাকে মৃত ঘোষণ করেন। তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সোলায়মান মারা যান। প্রচুর রক্ত ক্ষরণের কারণে সোলায়মানের মৃত্যু হয়েছে। জসিম আশঙ্কামুক্ত। তাকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের শ্যালক মোহাম্মদ আলো জানিয়েছেন, ওই এলাকায় নিয়মিত মাদক সেবন করে সন্ত্রাসীরা। সোলায়মান এই মাদক সেবনের প্রতিবাদ করেন। তারই জের ধরে এলাকার সুজন ও শরিফুলের সঙ্গে তার বিরোধ বাধে। তারাই মূলত ইন্ধন দিয়ে সোলায়মানকে খুন করিয়েছে।

নিহত সোলায়মান টিবি ক্লিনিক এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। জসিম উদ্দিন একই এলাকার নজরুল শিকদারের ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে।