চোখে-মুখে আঠা লাগিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে সুপার গ্লু আঠা দিয়ে গৃহবধূকে (৪৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও স্বর্ণের কানের দুল লুটের অভিযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সামাদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

পাইকগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘এই ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে। এ মামলার পর সামাদ নামে একজনকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

ওই গৃহবধূ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘১১ ফেব্রুয়ারি রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তারপর আর কিছুই জানি না। এখন দেখছি আমার কান ছেঁড়া। কানের দুল কারা নিয়ে গেছে। তবে ব্যাগে ৬ হাজার টাকা ছিল, সেই টাকা রয়েছে। গলায় কিছু ছিল না।’

ভুক্তভোগী ওই নারীর মেয়ে বলেন, ‘সকাল থেকে মা কথা বলছেন। তবে তিনি কোনও কিছু স্মরণ করে বলতে পারছেন না।’

উল্লেখ্য, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই গৃহবধূর প্রতিবেশী চোখে-মুখে আঠা লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসকরা তার চোখ ও মুখের আঠা অপসারণ করেন। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

১১ ফেব্রুয়ারি রাতে চোরেরা চুরি করতে তার বাড়িতে প্রবেশ করে ওই নারীর চোখ ও মুখে সুপার গ্লু আঠা দিয়ে আটকে ধর্ষণ ও বাড়িতে চুরি করে বলে অভিযোগ ওঠে।