বোমা উদ্ধারের ‘নাটক সাজিয়ে’ মামলা, খালাস পেলেন জামায়াতের সেক্রেটারিসহ ৪৯ জন

খুলনার ডুমুরিয়া থানার নাশকতার দুই মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৪৯ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নীলা কর্মকার এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু ইউসুফ মোল্লা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডুমুরিয়ার বামনদিয়ায় বোমা উদ্ধারের একটি নাটক সাজিয়ে মামলা করা হয়। এ মামলায় মিজানুর রহমানসহ ১৮ জনের নামে দেওয়া হয়। পরে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার অন্য একটি মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই মামলায় ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ৫০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। এর মধ্যে ডুমুরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা ইসহাক আলী মারা যাওয়ায় ৪৯ জন আসামি ছিল। একই এজাহার থেকে দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে। দুই মামলায় একই আসামি ছিল।

তিনি বলেন, চার্জশিটে ৩০ সাক্ষী ছিল, সেখানে ১৯ সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। কোনও সাক্ষীই তার সাক্ষ্যতে সেক্রেটারি জেনারেলসহ কোনও আসামির নাম বলতে পারেনি- যে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। যে বই উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেই বইয়ের কোনোটাই বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ না। আজ সেই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে না পারায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৪৯ জনকে খালাস দেন আদালত।

খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, নাশকতার গায়েবি মামলা, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমনকি কোনও কিছুই হয়নি, শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে পুলিশ থানায় বসে এই মামলা করে। সেই মামলায় বিচারের নামে প্রহসন চলেছে। আজ সেই মামলার রায় হয়েছে। রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খালাস পেয়েছেন। এই রায়ে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি, আমরা সন্তুষ্ট।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি, সন্তুষ্ট। মিথ্যা মামলা। এটা হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপকর্মের একটা ছোট প্রমাণ। আমি আরও একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসবো। আশা করি ওই মিথ্যা মামলা থেকেও আমি অব্যাহতি পাবো।