সাদ-জুবায়েরপন্থিদের বিরোধ, এক মসজিদ ঘিরে দিনভর কড়া নিরাপত্তা

খুলনা মহানগরীর নিরালা সংলগ্ন তাবলিগ (মারকাজ) মসজিদে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সাদ ও জুবায়েরপন্থি মুসল্লিদের বিরোধ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে দিনভর কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়।

মুসল্লি সূত্রে জানা গেছে, সাদপন্থিরা ঘোষণা দিয়েছেন, ১০ দিন জুবায়েরপন্থির কোনও মুসল্লি তাবলিগ মসজিদের নামাজ পড়তে পারবেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে জুবায়েরপন্থিরা ঘোষণা দেন শুক্রবার জুমার নামাজ নিরালা তাবলিগ মসজিদে আদায় করার। কিন্তু মুসল্লিদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হতে না পারে সেজন্য খুলনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ বাহিনীর ফজরের পর থেকে কঠোর নিরাপত্তা দিতে শুরু করেন।

army2

সশস্ত্র বাহিনী এলাকার সাধারণ মুসল্লি বাদে সাদ ও জুবায়েরপন্থির কাউকেই ঢুকতে দেননি। নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বেলা ১২টার সময় তাবলিগ মসজিদের প্রধান ফটকে তালাবদ্ধ করে রাখে।

এলাকা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সশস্ত্র বাহিনী নিরালা মোড় থেকে গল্লামারি মোড় পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তায় ছিলেন। কোনও অপ্রীতিকর  ঘটনা ঘটেনি এবং মসজিদের আশেপাশে সাদ বা জুবায়েরপন্থি কাউকেই দেখা যায়নি।

army3

নিরালা তাবলিগ মসজিদ সংলগ্ন নাজিরঘাট এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, মুসল্লিদের বিভাজনের কারণে তাবলিগ মসজিদে শুক্রবারে জুমার নামাজ আমরা পড়তে পারিনি। আমরা মুসলিম হিসেবে মুসলিমদের ভেতরে সাদ ও জুবায়েরপন্থি চাই না। সাধারণ মানুষের একটাই চাওয়া মুসলমানদের ভেতরে সব ভেদাভেদ বাদ দিয়ে সবাই একসঙ্গে নামাজ পড়বে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আহসান হাবিব বলেন, দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। ফলে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। রাত পৌনে ৭টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেই সব সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।