যশোরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় মা ও আরেক মেয়েসহ তিন জন আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে শহরের পুলেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন খুলনার মুজগুন্নী এলাকার মো. রুবেল হোসেন (৩৪) ও তার মেয়ে ঐশী আক্তার (১০)। আহত হয়েছেন রুবেলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৮) ও তাদের সাড়ে চার বছর বয়সী মেয়ে তায়েবা আক্তার এবং পথচারী কৃষ্ণবাটি গ্রামের ওসমান গণি (১৯)।
আহত জেসমিন আক্তার জানিয়েছেন, তার বাবার বাড়ি শার্শার বহিলাপোতা থেকে মোটরসাইকেলে স্বামীর বাড়ি খুলনার মুজগুন্নী যাওয়ায় পথে যশোর-বেনাপোল সড়কের পুলেরহাট বাজারে দুর্ঘটনার শিকার হন। ঈদের ছুটিতে তারা বহিলাপোতা গ্রামে গিয়েছিলেন। আজ সেখান থেকে খুলনায় ফিরছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে বেনাপোলগামী একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ঐশীর মাথা বাসের চাকায় পিষ্ট হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহত অন্যদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুবেলকেও মৃত ঘোষণা করেন। রুবেলের স্ত্রী, আরেক মেয়ে ও একজন পথচারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দুর্ঘটনার পর চালক বাসটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারী ওসমানকে ধাক্কা দেয়। তখন স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ গিয়ে আগুন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে বাসের চালক-হেলপার পালিয়ে গেছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুজায়েত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঐশীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার বাবা রুবেল হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঐশীর মা ও বোনসহ তিন জন চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রোকনুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা গেছেন। তারা বাবা-মেয়ে। বাসচালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।’