কুয়েটে অচলাবস্থা: আবারও অবস্থানে শিক্ষার্থীরা, দাবিতে অনড় শিক্ষকরা

কোনোভাবেই সচল হচ্ছে না খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। নিজ নিজ দাবিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনড় থাকায় বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজের প্রতিবাদ ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু, নতুন তদন্ত কমিটি গঠন এবং কুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ করাসহ এ দাবি তাদের।

অপরদিকে, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে সাত দিনের আলটিমেটাম শেষ হলো বৃহস্পতিবার।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সাহিদুল ইসলাম বলছেন, তারা উপাচার্যের সঙ্গে ইতোমধ্যে দেখা করেছেন। উপচার্য তাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক। দাবি আদায় হলে রবিবার তারা ক্লাসে ফিরবেন। আর দাবি আদায় না হলে অসহযোগ আন্দোলনে যাবেন তারা।

তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড়। দুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপচার্য প্রফেসর ড. মো. হযরত আলী। তিনি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারনের আহ্বান জানান।

উপচার্য বলেন, ‘সবাই নিজ নিজ দাবিতে অনড় এ কারণে কিছুটা সময় লাগছে। খুব শিগগিরই সকল সমস্যার সমাধান হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েট উপচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালায়। ১ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রফেসর ড. মো. হযরত আলীকে উপচার্য হিসেব নিয়োগ দেয়। এরপর ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর কথা থাকলেও শিক্ষকদের দাবির মুখে তা এখনও বন্ধ রয়েছে।