যশোরে হত্যার জেরে অগ্নিসংযোগ: ১৩ মতুয়া পরিবার পেলো তারেক রহমানের সহায়তা

যশোরের অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৩ পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অভয়নগর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান লিপু, সহ-সভাপতি শাহ্ মোহাম্মদ জোবায়ের, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম মুজিবর রহমান, শ্রমিক দল নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক ও নিহতের বড়ভাই এস এম রফিকুজ্জামান টুলু, থানা যুবদলের আহ্বায়ক বাকীউজ্জামান রানা, বিএনপি নেতা মাসুদ রানা, ইকবাল সরদার, কৃষক দল নেতা সুমন মোগল, আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।

ওই সময় ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব বলেন, ডহর মশিয়াহাটীর ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সেদিন তরিকুলের মরদেহ নিয়ে ব্যস্ত ছিল দলের নেতাকর্মীরা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃতীয় পক্ষ এই ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে পারে। যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা রয়েছে। তাই আজ ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারকে চাল, ডাল ও নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, একইদিন দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি জে এল ভৌমিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন। এসময় যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সার্বিক বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম বলেন, তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড়ভাই এস এম রফিকুজ্জামান টুলু বাদী হয়ে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার বিকালে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্তের কাজ করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তরিকুল ইসলামের অনুসারীরা ওই রাতেই ১৩টি পরিবারের ১৮টি ঘরে ভাঙচুর-লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।