হরিণ শিকারের জন্য সুন্দরবনের অভ্যন্তরে চোরা শিকারিদের পেতে রাখা ৬০০টি ফাঁদ জব্দ করেছে বন বিভাগ। এ ছাড়া একই এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছে কাঁকড়া শিকারের নিষিদ্ধ চারু। সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি জানান, দুবলা জেলেপল্লি টহল ফাঁড়িসংলগ্ন কোকিলমণি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় সোমবার নিয়মিত টহল দিচ্ছিল বনপ্রহরীরা। নৌকা ও পায়ে হেঁটে দেওয়া এ টহলকালে বনরক্ষীরা বনের ভেতরে হরিণ শিকারের ফাঁদ দেখতে পান। পরে তারা সেখান থেকে ৬০০টি হরিণ শিকারের মালা (গোলাকৃতি) ফাঁদ জব্দ করেন। সে সময় ওই জায়গা থেকে জব্দ করা হয় কাঁকড়া শিকারের জন্য পেতে রাখা ১৬টি নিষিদ্ধ চারু।
এর আগে, গত ৬ জুন ঢাংমারী স্টেশনের হুলার ভারানী এলাকা থেকে ৮২টি মালা (গোলাকৃতি) ফাঁদ ও নন্দবালা টহল ফাঁড়ির সূর্যমুখী খাল এলাক থেকে ৫৩টি মালা ফাঁদ জব্দ করেন বনপ্রহরীরা। এ ছাড়া ১০ জুন সুপতি স্টেশনের শাপলা ক্যাম্পের ছোট সিন্দুক বারিয়া খাল এলাকা থেকে হরিণ শিকারিদের পেতে রাখা ৪৫০টি মালা ফাঁদ জব্দ করেন বনপ্রহরীরা।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, ‘যেকোনও ধরনের বন অপরাধ দমনে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি বন বিভাগের এ কঠোরতার মধ্য দিয়ে সকল ধরনের বন অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’