কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ি থেকে রবীন্দ্রনাথের দুটি তরবারি চুরি

কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি তরবারি চুরির খবর পাওয়া গেছে । এ ব্যাপারে শনিবার কুমারখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মখলেচুর রহমান জানান, গত ৩০ মার্চ বিকাল ৫টার দিকে প্রতিদিনের মতো কুঠিবাড়ির সব কক্ষ বন্ধ করে প্রধান ফটক সিলগালা করে তিনি সরকারি কাজে খুলনায় চলে যান। এ সময় লাইব্রেরিয়ান কাম কাস্টোডিয়ান বাকী বিল্লাহ দায়িত্বে ছিলেন। পরদিন ৩১ মার্চ সকালে তিনি জানতে পারেন কুঠিবাড়ির দ্বিতীয় তলার ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে আলমারিতে রাখা পাঁচটি তরবারির মধ্যে দুটি পাওয়া যাচ্ছে না। ওই আলমারির তালাও ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে কুমারখালী থানায় জানানো হয়। এরপর ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় কুমারখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, থানায় জিডি হয়েছে। তবে মামলা না হওয়ায় তদন্ত করতে বা কাউকে আটক করতে পারছি না।

স্থানীয় সূত্রমতে, কুঠিবাড়ির চারদিকে সীমানা দেওয়া সুরক্ষিত ভবন থেকে কিভাবে তরবারি চুরি হলো, তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সময় প্রধান ফটক সিলগালা করা ছিল। কুঠিবাড়ি চত্বরে স্থায়ী একটি আনসার ক্যাম্পও রয়েছে। সেখানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও ১০ সদস্যদের একটি আনসার ক্যাম্প আছে। তাদের কাছে অস্ত্রও থাকে।

এদিকে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহে রক্ষিত তরবারি চুরির ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাসহ সচেতন মহল।

কুষ্টিয়া বোধদয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট লালিম হক তলোয়ার চুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কুঠিবাড়ির চারদিকে কঠোর পাহারা দেওয়া হয়। এর মধ্যে তরবারি চুরি হয়ে যাওয়া খুবই লজ্জাজনক।

‘শর্ষের মধ্যে ভূত আছে’ উল্লেখ করে লালিম হক বলেন, এর আগে পশ্চিমবাংলার বীরভুম জেলার বোলপুরে শান্তিনিকেতনে রাখা ছিলো রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়ীর পুরস্কার। সেটাও চুরি হয়েছে। এবার এই কুঠিবাড়িতে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা তরবারি চুরির পেছনে কোনও আন্তর্জাতিক চক্র থাকতে পারে। এগুলো উদ্ধারে সরকার জোর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা রাখি।

 

/বিটি/টিএন/