এদিকে, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলমকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের মামলায় সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে অজ্ঞাত চার শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে, নিহত পথচারী সফর আলীর ভাই হজরত আলী বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নিহতের ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম জানান, রবিবার রাতে ফুলবাড়ীয়া থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত চার শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। এছাড়া নিহত পথচারী সফর আলীর ভাই হজরত আলী বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, রবিবার সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনরতরা মিছিল বের করতে চাইলে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এরপর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ফুলবাড়ীয়া-ময়মনসিংহ সড়ক ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও পথচারী ছফর আলী। পরে চুরখাই কমিউনিটি ভেজ কলেজ হাসপাতালে তাদের নেওয়ার পথে ছফর আলী মারা যান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। তবে পুলিশের দাবি তারা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।