১৪৪ ধারা প্রত্যাহার হলেও ফুলবাড়ীয়ায় কাটেনি গ্রেফতার আতঙ্ক

ফুলবাড়ীয়ায় যানবাহনে কালো পতাকা১৪৪ ধারা প্রত্যাহার হলেও গ্রেফতার আতঙ্ক কাটেনি ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ লোকজনের। পুলিশের দায়ের করা মামলায় যে কোনও সময় গ্রেফতার হওয়ায় আশঙ্কায় ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন আন্দোলনকারীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। তারপরও কলেজ জাতীয়করণের দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে তারা।

পুলিশি হামলায় অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও পথচারী সফর আলীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার মানুষ। সেখানকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কালো পতাকা উড়ছে যানবাহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়িতে।

স্থানীয়রা জানান, গ্রেফতার আতঙ্কে সাধারণ মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছেন না। ফুলবাড়ীয়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শামসুল আলম জানান, রবিবার (২৭ নভেম্বর) ঘটনার পর থেকেই ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় বেচাকেনাও কমেছে। শুধু দোকানপাটে নয় যানবাহন চালকরাও বেকায়দায় পড়েছেন। সিএনজি চালক আব্দুর রশিদ জানান, যাত্রী কমে যাওয়ায় আয় রোজগার হচ্ছে না। সিএনজি মালিকের ভাড়াও পরিশোধ করতে পারছেন না।

ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ দাবি আদায় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, ‘কলেজ জাতীয়করণ করতে আন্দোলন ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনও বিকল্প নেই। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।

গ্রেফতার আতঙ্ক প্রসঙ্গে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, ‘অযথা কোনও ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না। তবে ঘটনা তদন্তে চারটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। মঙ্গলবার ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ এর উদ্যোগে পুলিশের আরও একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মাউশির তদন্ত দল ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী, থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনেছেন ও ঘটনাস্থলের আলামত ঘুরে দেখেন।’

তদন্ত কমিটি প্রধান অধ্যাপক শামসুল হুদা জানান, আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

আরও পড়ুন- 

/এসটি/এফএস/