বন্যায় দুর্ভোগ বাড়ছে জামালপুরে

জামালপুরে বন্যার পরিস্থিতির আরও অবনতিজামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এতে করে দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে জামালপুরবাসীর।



জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বুধবার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে যমুনার ভাঙনে দেওয়ানগঞ্জের বরখাল এলাকার শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৫ হাজারের বেশি পুকুরের মাছ।
জামালপুর রেল স্টেশন মাস্টার মীর্জা শামছুল আলম জানান, রেল লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে জামালপুর-তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানের সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ।জামালপুরে বন্যার পরিস্থিতির আরও অবনতি
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আব্দুর রাজ্জাক জানান, বন্যায় জেলার ৮১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সরকারি দফতর। এ অবস্থায় দেওয়ানগঞ্জ টিএনও অফিসের কার্যক্রম চলছে চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে।

সবমিলিয়ে জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের ৬ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এলাকায় কাজ, খাদ্য, গো-খাদ্যের সংকট তীব্র। খেয়ে না খেয়ে দুর্বিসহ সময় পার করছে বানভাসী মানুষ। ভেঙে পড়েছে স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১২৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
/এআর/