ঈশ্বরগঞ্জে যুবলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬

ময়মনসিংহময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনসহ কয়েকটি বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ছয় যুবলীগকর্মী আহত হন। পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান,  সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে।

সংঘর্ষে দেলুয়ার জাহান মামুন, সুজন, একেএম অমিত উল্লাহ, হিরণ, আব্দুল্লাহ, কামাল নামে ছয় যবুলীগ কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দেলুয়ার জাহান মামুন ও সুজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, যুবলীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর নতুন কমিটির সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে ২৮ জানুয়ারি দু’গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা দেখা হয়। পরে নতুন কমিটির আহ্বায়ক আবুল খায়ের ও বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান গ্রুপের মধ্যে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় নতুন কমিটির আহ্বায়ক আবুল খায়েরের সমর্থকরা যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুস সালামের নেতেৃত্বে পৌর এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি নেয়। ওই মিছিল শুরু করার আগেই বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান ও তার সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের মুক্তিযোদ্ধা মোড়ে পৌঁছলে উভয় গ্রুপ মুখোমুখি হয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ১২ রাউন্ড টিয়ারশেল ও এক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। বিকাল ৪টায় সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমনের থানা রোডের সরকারি বাসভবনে ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুস সালামের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে যুবলীগের কাউকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেয়াজি ও গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকির আহামেদ সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে যান।