স্থানীয় সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন রুটের যানবাহনকে ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ পার হয়ে যাতায়াতের কারণে পাটগুদাম ব্রিজ মোড়টি সবসময় ব্যস্ত থাকছে। এরকম মোড়ের ওপর গড়ে উঠা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও সিএনজি স্ট্যান্ড এই ব্যস্ততাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ব্রিজ মোড়ের একটা বড় অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে সিএনজির স্ট্যান্ড। এছাড়াও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে বের হওয়ার পর হালুয়াঘাট, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, তাড়াইল, নেত্রকোনা, শেরপুরগামী বাসগুলো বাড়তি যাত্রীর আশায় ব্যস্ততম সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাসগুলোকেও এই ব্যস্ততম সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। ফলে দূরপাল্লার যাত্রী ও পথচারীসহ অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড়ের এই সড়কের ওপর যাত্রীবাহী বাস না দাঁড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগায় এসব বাস সড়কের ওপর থামিয়ে যাত্রী তুলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্তব্যরত সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশের হাবিলদার কনস্টেবলদের এসব বাসের চালকেরা কোনও তোয়াক্কাই করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, লাঠিসোটা হাতে একশ্রেণির নামধারী শ্রমিক এসব বাসকে সড়কের ওপর দাঁড় করানোর সুযোগ দিয়ে চালকদের কাছ থেকে ‘বকশিশ’ এর নাম করে টাকা নিচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধেও চালকদের সঙ্গে এরকম অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোটর মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রথমে শ্রমিকদের চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কিছু শ্রমিককে ব্রিজের পাশের মহাসড়কে পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য রাখা হয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা আমাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবো।’
জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মূলত শ্রমিকদের চাঁদাবাজির কারণেই যানজটেরই এই সমস্যা হচ্ছে। পুলিশ যদি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় তাহলেই সমস্যা আর থাকবে না।’
রাস্তায় দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে যানজটের কথা স্বীকার করে জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল কাদের খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যানজট নিরসনে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। যানবাহন দাঁড় করিয়ে টাকার নেওয়ার বিষয়ে কোনও পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’