শেরপুরে জামায়াত-শিবিরের তিন নেতার কারাদণ্ড

কারাদণ্ড

শেরপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন সভা করার অভিযোগে করা মামলায় জামায়াত-শিবিরের তিন নেতাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শেরপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ নূর সোমবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলার দোহালিয়া গ্রামের মানজন আলীর ছেলে আবু মাসুম ওরফে মাসুদ বিল্লাহ (৩০), পূর্ব চাঁদ গাঁও গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫)। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

তারা হলেন, মো. হাফিজুর রহমান (২৫), মো. রুবেল মিয়া (২৫), মিজানুর রহমান (৩০), মাহফুজুর রহমান (২৮), মো. হৃদয় মিয়া (৩০) ও রসুল মিয়া (২৭)। 

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট চন্দ কুমার পাল জানান, ২০১৫ সালের ৪ জুন বিকেলে নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী উত্তরবন্দ জামে মসজিদে সন্ত্রাস  ও নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপনে বৈঠক করে এলাকার জামায়াত-শিবির নেতারা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রশিবির সভাপতি আবু মাসুম ওরফে মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও শিবিরকর্মী রবিউল ইসলামকে রাষ্ট্রবিরোধী জিহাদী বই ও লিফলেটসহ হাতেনাতে আটক করে। এসময় আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একই দিন নালিতাবাড়ী থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৫ মে আটক তিন  শিবির নেতাসহ জামায়াত-শিবিরের ৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিরা বিভিন্ন পর্যায়ে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে গেলেও মাসুদ দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় গত ২৪ জুন তার জামিন বাতিল হয়। বিচারিক প্রক্রিয়ায় ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত সোমবার এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট এম কে মোরাদুজ্জামান মুরাদ মামলাটি পরিচালনা করেন।