শেরপুরে হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

শেরপুরশেরপুরে আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় সহোদরসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন আসামিদের উপস্থিততে এ রায় দেন ।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শেরপুরের নকলা উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৬) ও ওয়াজকরনী (৩৩) এবং সেকান্দর আলীর ছেলে সবুজ (৩৩)।

এছাড়া মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আসামি সেকান্দর আলী, আজগর আলী, আন্তাজ আলী, রেজাউল, মিজানুর রহমান, জালাল উদ্দিন ও রাজুকে বেকসুর খালাস দেন।

আদালতের অতিরিক্ত এপিপি অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে শেরপুরের নকলা উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের মোতালেবের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মামলা-মোকদ্দমা ও বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা দা, লাঠি, ফালা, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খোরশেদ আলমের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে আসামিরা লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে খোরশেদ আলমের ছোট ভাই আব্দুল মোতালেবকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে মোতালেব ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলায় আরও ২-৩ জন আহত হন।

এ ঘটনায় খোরশেদ আলম বাদী হয়ে নকলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে নকলা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) অচিন্ত্য দেবনাথ ২০১১ সালের ১৬ মার্চ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন ।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মঞ্জুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপক্ষে এবং সিরাজুল ইসলাম ও পঙ্কজ নন্দী আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন।