দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শেরপুরের নকলা উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৬) ও ওয়াজকরনী (৩৩) এবং সেকান্দর আলীর ছেলে সবুজ (৩৩)।
এছাড়া মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আসামি সেকান্দর আলী, আজগর আলী, আন্তাজ আলী, রেজাউল, মিজানুর রহমান, জালাল উদ্দিন ও রাজুকে বেকসুর খালাস দেন।
আদালতের অতিরিক্ত এপিপি অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে শেরপুরের নকলা উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের মোতালেবের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মামলা-মোকদ্দমা ও বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা দা, লাঠি, ফালা, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খোরশেদ আলমের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে আসামিরা লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে খোরশেদ আলমের ছোট ভাই আব্দুল মোতালেবকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে মোতালেব ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলায় আরও ২-৩ জন আহত হন।
এ ঘটনায় খোরশেদ আলম বাদী হয়ে নকলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে নকলা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) অচিন্ত্য দেবনাথ ২০১১ সালের ১৬ মার্চ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন ।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মঞ্জুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপক্ষে এবং সিরাজুল ইসলাম ও পঙ্কজ নন্দী আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন।