৮ ডিসেম্বর মুক্ত হয়েছিল জামালপুরের মেলান্দহ

মুক্তিযুদ্ধ৮ ডিসেম্বর জামালপুরের মেলান্দহ হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন বিকেলে আলম কোম্পানির টুআইসি (পরবর্তীতে সেঙ্গাপাড়া কোম্পানি) কমান্ডার আব্দুল করিম উমির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুল মাঠে প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। এর মাধ্যমে মাধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন মেলান্দহকে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ এসএম আব্দুল মান্নান ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেলান্দহ থানার ওসি জোনাব আলী ও তার সহযোগী  আব্দুল হক আকন্দ, নুরুর রহমান সরকার, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল্লাহ, আব্দুল গেনা, করিম ভেদা, আব্দুল লতিফ, মোহাম্মদ আলী, শমসের আলী, শহিদুল্লাহ, হাশেমসহ মোট ৪৬ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযুদ্ধে মেলান্দহ সদর, মাহমুদপুর পয়লাতে দুইটি সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্র ছিল।
মাহমুদপুর যুদ্ধক্ষেত্রে করিমের সহযোদ্ধা ইউসুফ আলীর ব্রাশফায়ারে ১২ পাক সেনা নিহত হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা রমিজ, সমরসহ বেসামরিক ৮/১০জন লোকের প্রাণহানি ঘটে। পাকবাহিনী সহযোগীরা কলাবাধা হাই স্কুলের ছাত্র আব্দুল কদ্দুসকে ইসলামপুরে নিয়ে জুতোর মালা পরিয়ে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে বাধ্য করে। পরে নির্মম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে তাকে জামালপুর কালিরঘাটে হত্যা করে। খবরটি ততকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত হয়েছিল।