ময়মনসিংহে সৈয়দ আশরাফের তৃতীয় জানাজা

ময়মনসিংহে সৈয়দ আশরাফের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিতবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় জানাজা ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে কেন্দ্রীয় আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানের জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানাজায় ইমামতি করেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ বহনকারী হেলিক্প্টার সার্কিট হাউজ মাঠে এসে পৌঁছে। আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের জানাজার আগে পুলিশ বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। জানাজায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা, বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতারা এবং বিভিন্ন দলের নেতারা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এবং সর্বস্তরের জনতা অংশ নেয়।

জানাজা শেষে সেখানে মরহুমের জন্য নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে হেলিকপ্টারে ঢাকায় রওনা হয়।

সৈয়দ আশরাফের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা বলেন, ‘বর্ষীয়ান নেতা সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে শুধু ময়মনসিংহবাসী না, দেশও একজন সৎ, নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদকে হারালেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফের কোনও বিকল্প হয় না। তার অবদান দেশবাসী মনে রাখবে।’

১৯৫৯ থেকে ১৯৭২ সাল মেয়াদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরও জানান, সৈয়দ আশরাফের শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ময়মনসিংহে। তার নেতৃত্বে ওই সময় ছাত্রলীগ ছিল শক্তিশালী।