দুলাল উদ্দিন জানান, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আবুল হাশেমের টিবি (যক্ষ্মা)রোগ ধরা পড়ে। তখন থেকেই তিনি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সাড়ে ৩ মাস তিনি চিকিৎসা নেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে চলে আসেন। এরপর থেকেই বিছানায়।
দুলাল উদ্দিন আরও বলেন,‘ইতোমধ্যে ডায়াবেটিস,কিডনি ও হার্টের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। আবুল হাশেমের কোনও সন্তান নেই। স্ত্রী আয়েশা খাতুনও প্রায় দুই বছর ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত।’
আবুল হাশেম গফরগাঁও উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ায় ১৯৩০ সালের ১৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।
গফরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম খোকন বলেন,‘ভাষা সৈনিক আবুল হাশেম শুধু গফরগাঁও নয়, ময়মনসিংহের গর্ব। তিনি বর্তমানে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। ভাষা সৈনিক হিসেবে যে মর্যাদা পাওয়ার কথা এখনও তিনি তা পাননি।’
গফরগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল বলেন, ‘ভাষা সৈনিক আবুল হাশেমের চিকিৎসার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’
ভাষা সৈনিক আবুল হাশেম জানান, তিনি আওয়ামী লীগ থেকে গফরগাঁওয়ে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু, রাজনৈতিক সহকর্মী কিংবা একাত্তরের রনাঙ্গনের কোনও সহযোদ্ধাও খোঁজ নিতে আসেন না। তার আক্ষেপ, বঙ্গবন্ধু ও তাজ উদ্দিনের মতো নেতারা বেঁচে থাকলে, চিকিৎসার অভাবে তাকে ৩ বছর বিছানায় পড়ে থাকতে হতো না। তার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই খবর পৌঁছালে তার উন্নত চিকিৎসার একটা ব্যবস্থা হবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী আবুল হাশেমকে ব্যক্তিগতভাবে তাকে চেনেন, জানেন।