জামালপুরে বন্যার পানি কমলেও বেড়েছে জনদুর্ভোগ

01জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে রবিবার ( ২১ জুলাই) বিকল ৩টায় ৩০ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে বন্যার পানি কমলেও জনদুর্ভোগ বেড়েছে। জেলার সাত উপজেলার ৬২টি ইউনিয়ন আটটি পৌরসভার মধ্যে সাতটি বন্যা কবলিত হয়েছে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী এ তথ্য জানান।
এদিকে যমুনা নদী পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি তেমন কমেনি। ফলে জেলার ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষা বকসীগঞ্জ ও জামালপুর সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলায় বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। জামালপুর-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা এলাকায় দুটি স্থানে বন্যার পানিতে তলিয়ে পানির স্ত্রোতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নি ঘটছে। বন্যার পানির তোড়ে একটি কালভার্ট ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়কের প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে যাওয়ায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
02এ দিকে বন্যা সংক্রান্ত জেলা প্রশাসন কার্য্যালয়ে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, জেলার সাত উপজেলার সর্বশেষ ৬২টি ইউনিয়ন ৮টি পৌর সভার মধ্যে ৭টি বন্যা কবলিত হয়েছে। সারা জেলায় ২২ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৪ জনের মধ্যে ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯০ জন লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৭ হাজার ২৫০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে এবং ৪৫ হাজার ৫৮০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাট, মাছ, ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়েছে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত সারা জেলায় ৯৮০ মে. টন চাল এবং ১৭ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ চাল পাঁচ হাজার ৮৯ মে. টন বরাদ্দ দিয়েছে যা ঈদের আগে বিতরণ করা হবে।