আওয়ামী লীগ রেজিমেন্ট বা সার্কাস পার্টি নয়: মতিয়া চৌধুরী

বর্ধিত সভায় বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ নেতারা



বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রেজিমেন্ট পার্টি না, এটা হিটলারের পার্টি না, সার্কাস পার্টিও নয়, এটি স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী পার্টি, যা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলবে-বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে নেত্রকোনা পাবলিক হলে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দলের মধ্যে বিভাজন বন্ধ রেখে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। কারণ দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দলকে ভালবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন, এই দেশের মানুষকে ভালোবাসেন বলেই বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের মানুষের উন্নয়নে রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই দলের ঐক্যমতের প্রশ্নে দেশের উন্নয়নে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

এ সময় নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মরহুম ফজলুর রহমান খানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ফজলুর রহমান দলের জন্য আজীবন নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন, দলকে সুসংগঠিত করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য।

নেত্রকোনাকে নৌকার ঘাঁটি হিসেবে উল্লেখ্য করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, যেসব স্থানে আওয়ামী লীগ এখনও শক্তিশালী অবস্থানে নেই, সেখানে গিয়ে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে সাধারণ মানুষের সমর্থন অর্জন ও দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি এমপি। তিনি বলেন, দলে ভেতরে অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ করেছে, তারা দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

দলের সকল ইউনিটে কমিটি গঠন করা জরুরি মন্তব্য করে দিপু মনি আরও বলেন, আগে দলকে সু-সংগঠিত করতে হবে, দলের সভাপতি-সম্পাদক হওয়া জরুরি না, দলের যে যে পদই পান না কেনও কর্মী হয়ে দলের জন্য কাজ করাই বড় বিষয়। 

এ সময় বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে গিয়ে যারা নিবার্চনে অংশ নিয়েছেন ও তাদের সমর্থনে কাজ করেছেন, সে সকল নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকার কথাও বলেন তিনি। 

জেলা আওযামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খরু এমপির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধূরী নাদেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন আরেং, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী এবং জাকিয়া পারভিন মনি এমপিসহ জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।






বর্ধিত সভায় জেলা কমিটি ছাড়াও সকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা আওয়ামী লীগের ১০৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।