গুঠাইল থেকে উলিয়া পর্যন্ত  বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চায় ইসলামপুরবাসী

জামালপুরের ইসলামপুর চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর বাম তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের দাবিতে  মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা জানান, যমুনার ভাঙন রোধে সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলিং করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে প্রতি বছর বর্ষাকালে বন্যার পানির স্রোতে এই পাইলিংয়ের বিভিন্ন স্থান ধসে যায়। ফলে এলাকার হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও ঘরবাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই জন্য যমুনার বাম তীরে একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হলে ফসলি জমিসহ ঘরবাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে। তেমনি দুর্ভোগ কমবে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে অবিলম্বে যমুনার বাম তীর গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার বাঁধ তথা রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

তাদের দাবি, যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে স্থায়ী বাঁধ না থাকায় যমুনার ফুঁসে ওঠা পানি পাইলিং এর ওপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত  হতে থাকে। সে সময় পানির স্রোতে নির্মিত যমুনার সংরক্ষণ বাঁধের বিভিন্ন স্পটে সিসি ব্লক ধসে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ ঘরবাড়ি-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। এছাড়া যমুনার পানির প্রবল স্রোতে ফসলি জমিতে বালি পড়ে, এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। ফলে বন্যার ক্ষতির প্রভাব সারা বছর টানতে হওয়ায় দিনকে দিন মানবেতর থেকে অতি মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামসহ বক্তারা বলেন, এই এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার একর ফসলি জমিসহ বাড়ি-ঘর, রাস্তা ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট রক্ষা পাবে, তেমনি বন্যার সময় বন্যার্ত অসহায় মানুষরা বাঁধে আশ্রয় নিয়ে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি হাজার হাজার একর জমিতে ফসল উৎপাদিত হবে, রক্ষা পাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।