জামালপুরে ৫ জেএমবি সদস্যকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড

জামালপুরে জেএমবির পাঁচ সদস্যকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির এই আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো ময়মনহিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কারী সাইদুর রহমান (৪০), চন্ডিমন্ডপ গ্রামের নবাব আলীর ছেলে আক্কাস আলী (৩৮), জামালপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের ফয়েজ আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া (৪৮), দখলপুর গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে মো. রুকনুজ্জামান (৩১) ও বন্দ চিথলিয়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫০)।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ খাজা আলম জানান, ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামালপুর সদর উপজেলার বন্ধ চিথলিয়া গ্রামের আজিজুল হকের বসতঘরে অভিযান পরিচালনা করে ময়মনসিংহ র‌্যাব-৯। এ সময় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে লোহার পাইপের শর্ট পিস, কাঁচের বোতল, আনুষঙ্গিক বিস্ফোরক দ্রব্য ও জিহাদি বইসহ জেএমবির সক্রিয় সদস্য কারী সাইদুর রহমান ও আক্কাস আলীকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই অভিযোগে সাইদুল মিয়া, মো. রুকনুজ্জামান ও আজিজুল হককে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

মামলা দায়েরের পর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত আসামিদের জেলা হাজতে পাঠান। ২০০৯ সালের ২৭ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিলের পর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে মো. রুকনুজ্জামান জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

এরপর ২০১৩ সালের ৩ মার্চ মামলটি নিষ্পত্তির জন্য স্পেশাল জজ আদালতে পাঠানো হয়। মামলাটিতে ৯ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘ বিচারের পর প্রত্যেককেই সন্ত্রাসবিরোধী আধ্যাদেশ ২০০৮ এর ৮ ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, ৯ (৩) উপধারায় ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ ধারা অনুযায়ী ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন জামালপুর স্পেশাল আদালত।

রায় ঘোষণার সময় পলাতক আসামি ছাড়া সবাই আদারতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ খাজা আলম এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাবেদ আলী, অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।