করোনাকালে অভাব-অনটনের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন নেত্রকোনার বিশিষ্ট পালাকার মিলন বয়াতি। করোনা পরিস্থিতির আগে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করতে পারতেন। সম্মানি হিসেবে যা পেতেন তাই দিয়েই চলতো সংসার। এখন সেই পথও বন্ধ। এ অবস্থায় সম্প্রতি তিনি শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ১৫ জুলাই রাত থেকে তার ডান হাত ও ডান পা অনুভূতিহীন হয়ে যায়। আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিনি চিকিৎসাটাও চালিয়ে যেতে পারছেন না।
জানা যায়, নেত্রকোনার সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের ছেওপুর গ্রামে জন্ম মিলন বয়াতির। শৈশব থেকেই নেত্রকোনার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে গান বাজনা করে বেড়িয়েছেন তিনি। বর্তমানে অসুস্থতার কারণে তিনি কেন্দুয়ার নওপাড়ায় মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা জানান, এই গুণী শিল্পীকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে আবারও দুর্দান্ত দাপট নিয়ে মঞ্চে ফিরবেন। মানুষকে বিমোহিত করে নির্মল আনন্দে দেবেন। তার বর্তমান অসুস্থতা থেকে উত্তরণের জন্য উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সমাজের সক্ষম ও বিত্তশালী মানুষেরা যদি যার যার সামর্থ্য নিয়ে এই শিল্পীর পাশে দাঁড়ান, তাহলে আরও ভালো কিছু সৃষ্টি মাধ্যমে দেশের লোকসংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করবেন মিলন বয়াতি, এমনটাই তাদের ধারণা।
জেলা প্রশাসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিলন বয়াতিকে চিকিৎসাসহ অন্যান্য সহযোগিতা করা হয়েছে। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে এই শিল্পী আরও অনেদকিন শিল্প-সংস্কৃতির জন্য কাজ করে যেতে পারবেন।