৬ ঘণ্টায় ভর্তির জন্য এসেছেন ২৯০ রোগী

জামালপুর সদরের রঘুনাথপুর থেকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগা সুরতন বেগমকে (৬৫) বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনেন স্বজনরা। হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে চিকিৎসকরা দেখার পর তাকে ভর্তি না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

সুরতন বেগমের স্বজন আলতাফ জানান, ‘পাঁচ দিন ধরে জ্বর ও দুই দিন ধরে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় হাসপাতালে এনেছিলাম। কোনও শয্যা খালি না থাকায় ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকরা। এ কারণে বাড়ি নিয়ে যেতে হচ্ছে।’

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার চকরামপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের (৫৫) কয়েকদিন ধরে জ্বর ও গলা ব্যথা থাকায় হাসপাতালে এসেছিলেন। শয্যা খালি না থাকায় ফ্লু কর্নার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওষুধপত্র লিখে তাকেও বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে কামাল বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে জ্বর ও গলা ব্যথা থাকায় বাবাকে হাসপাতালে এনেছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি না দেওয়ায় বাড়িতে নিয়ে যেতে হচ্ছে।’

mymansing2

এভাবে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শয্যা খালি না থাকায় ভর্তি হতে আসা করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গে ভোগা রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকে অসংখ্য রোগী ভর্তি হতে না পেরে চলে গেছেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে থাকা ফ্লু কর্নারের তথ্যমতে, বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় ২৯০ জন  হাসপাতালে ভর্তি হতে এসেছেন। এর মধ্যে ২১ জনকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি দিয়ে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, হাসপাতালটির করোনা ইউনিটের ৫০০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন প্রায় ৬০০ রোগী। অনেক রোগী ওয়ার্ডের মেঝেতে থেকেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ময়মনসিংহ মেডিক্যালের সহকারী পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৫০০ শয্যার বিপরীতে প্রায় ৬০০ রোগী ভর্তি আছেন। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ভর্তি দেওয়া হচ্ছে। শয্যা খালি না থাকায় বাকিদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলার বাইরের জেলা এবং অন্যান্য বিভাগের রোগীরাও হাসপাতালে চলে আসায় রোগীর চাপ বেড়ে গেছে এবং বর্তমানে কোনও শয্যা খালি নেই।’