চাকরি চান ময়মনসিংহ মেডিক্যালের সেই পরিচালক

চাকরি চেয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (মমেক) সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ। 

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেওয়া ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন—

প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন শুভাকাঙ্ক্ষী। আজ ১ বছর ২ মাস ঘরে বসা। এল পি আর শেষ। সংসার ও নিজকে কর্মক্ষম রাখতে কিছু করা প্রয়োজন। নিজের ভবিষ্যৎ চিন্তা করিনি। হালাল ও হারামের সংমিশ্রণে এ জীবন। 

মেডিক্যাল ও নন মেডিক্যাল যেকোনও সেক্টরে কোনও নিবেদিত ও সৎ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে কোনও প্রতিষ্ঠান আমাকে বাংলাদেশের যেকোনও স্থানে চাকুরির সুযোগ দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

এ বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল করে নাসির উদ্দিন আহমেদকে পাওয়া যায়নি। তার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন অনেকে। 

নাসির উদ্দিন আহমেদের ফেসবুক পোস্ট

জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন কালাম বলেন, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমদের সময়কালে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে আমূল পরিবর্তন এসেছিল। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে হাসপাতালে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন, করেছিলেন সৌন্দর্যবর্ধন। তার সময়ে বিনামূল্যে রোগীরা চিকিৎসাসেবা পেয়েছে। সরকার কিংবা কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে এমন একজন কর্মক্ষম ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারে।

২০১৫ সালের ১ নভেম্বর মমেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন নাসির উদ্দিন আহমদ। এ সময় হাসপাতালের ব্যাপক উন্নয়ন হয়। এতে নগরীর বেসরকারি হাসপাতালগুলো রোগীশূন্য হয়ে পড়ায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় মালিকরা। ২০১৭ সালের শেষের দিকে তার বদলির আদেশ আসে। বদলির আদেশের খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ময়মনসিংহবাসী। বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

সাধারণ মানুষের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিরের বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর ১৬ আগস্ট বদলি প্রত্যাহার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আবারও স্বপদে বহাল থাকেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন। পরে ২০২০ সালে অবসরে যান তিনি।